আগস্ট আন্দোলন বা ভারতছাড়াে আন্দোলন :
- ক্রিপস মিশনের ব্যর্থতার অব্যবহিত পরেই ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ভারতের বোঝাপড়া শেষ করে দিয়ে গান্ধিজি তীব্র ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের পরিকল্পনা করতে শুরু করেন ।
- এই পরিস্থিতিতে গান্ধিজি ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে ২৬ শে এপ্রিল 'হরিজন' পত্রিকাতে 'ভারত ছাড়ো' নামে একটি প্রবন্ধ লেখেন ।
- 1942 খ্রিস্টাব্দে 14 ই জুলাই কংগ্রেসের কার্য-নির্বাহক কমিটি ভারতছাড়ো আন্দোলনের প্রস্তাব গ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে 1942 খ্রিস্টাব্দে 8 ই আগস্ট নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটি ভারত ছাড়ো আন্দোলনের প্রস্তাব পাস করেন।
- গান্ধীজি ‘করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে’ বা ‘Do or Die’-এর ডাক দেন।
- ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ৭ আগস্ট সারা ভারত কংগ্রেস কমিটি গান্ধীজীর নেতৃত্বে ব্যাপকভাবে অহিংস গণ আন্দোলন শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয় ।
- ‘ ভারত ছাড়াে ’ প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পর ৮ আগস্ট মধ্যরাতে গান্ধীজী , মৌলানা আজাদ এবং অন্যান্য শীর্ষ নেতাদের পুলিশ গ্রেফতার করে । কংগ্রেসকে বেআইনি ঘােষণা করে কংগ্রেসের অপর নেতাদের বন্দী করা হয়।
- ৯ আগস্ট নেতাদের গ্রেফতারের খবর সারা দেশে ছড়িয়ে পড়লে জনসাধারণের মধ্যে এক তাৎক্ষণিক ও স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিক্রিয়া দেখা যায়|
- সভা সমিতি , শােভাযাত্রা ও হরতাল পালনের মাধ্যমে ভারতবাসী তাদের প্রতিবাদ জ্ঞাপন করে । আগস্ট আন্দোলনে ছাত্র , শ্রমিক ও কৃষক শ্রেণী সক্রিয়ভাবে অংশ নেয় ।
- বােম্বাইয়ে অরুণা আসফ আছিল ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মিছিলে ৪ জন মারা যান ও ১৬৯ জন আহত হন।
- মেদিনীপুরের তমলুকে তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার ১৭ ডিসেম্বর ১৯৪২ থেকে ১ সেপ্টেম্বর ১৯৪৪ পর্যন্ত স্বাধীনভাবে শাসন করে। সতীশ সামন্ত, সুনীল ধারা, নীলমণি হাজরা প্রমুখেরা উদ্যোগে এই জাতীয় সরকার গড়ে উঠেছিল।
- ৭৩ বছরের তমলুকের হােগলা গ্রামের বৃদ্ধা মাতঙ্গিনী হাজরা মিছিল পরিচালনা করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হন। তিনি পরিচিত ‘গান্ধী বুড়ি’ নামে।